Azad Rahaman's Profile
Brong
345
Points

Questions
184

Answers
87

  • ৯টি বইয়ের দাম ২১৬ টাকা
    ∴ ১ ’’ ’’ ’’ (২১৬ ÷ ৯) টাকা =  ২৪ টাকা
    ∴ ১২ ’’ ’’ ’’ (১২ × ২৪) টাকা = ২৮৮ টাকা

    • 436 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • যে ত্রিভূজের একটি কোণ সমকোণ বা 90∘ এবং বাকী কোণদুটি সূক্ষকোণ অর্থাৎ 90∘ অপেক্ষা কম, তাকে সমকোণী ত্রিভূজ বলে।

    সমকোণী ত্রিভূজের বৈশিষ্ট্য:
    (i) সমকোণী ত্রিভূজের একটি কোণ সমকোণ বা 90∘
    (ii) সমকোণী ত্রিভূজের বাকী কোণদুটি সূক্ষকোণ।

    • 530 views
    • 1 answers
    • 0 votes
    • 682 views
    • 2 answers
    • 0 votes
  • ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব ও কার্যাবলীঃ

    স্থানীয় সরকার(ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৩ ধারায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলীর কথা বলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কাজগুলো মূলত পাঁচভাগে বিভক্ত। ইউনিয়ন এলাকায় পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা ,রাজস্ব ও প্রশাসন ,উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণ এবং বিচারকাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ।

    ১. পৌর কার্যাবলী

    ২. পুলিশ ও নিরাপত্তা

    ৩. রাজস্ব ও প্রশাসন

    ৪. উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণ

    ৫. বিচার

     

    পৌর কার্যাবলী

    স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৩০ ধারায় পৌর কাজের কথা বলা হয়েছে ।পৌর কার্যাবলী বাধ্যতামূলক ও ঐচ্ছিক কার্যাবলী এই দুইভাগে বিভক্ত। তবে এই কাজগুলো ছাড়া ও সরকার সকল বা নির্দিষ্ট কোন ইউনিয়ন পরিষদকে ভিন্ন কোন দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিতে পারে ।প্রচলিত অন্যকোন আইনের মাধ্যমে ও সরকার ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দিতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদের বাধ্যতামূলক কাজ ১০টি এবং ঐচ্ছিক কাজ ৩৮টি।

     

    বাধ্যতামূলক কার্যাবলী

    ১। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করে এবং এ বিষয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করে।

    ২। অপরাধ, বিশৃঙ্খলা এবং চোরাচালান দমনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

    ৩। কৃষি, বৃক্ষরোপণ, মৎস্যও পশুপালন, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প, সেচ, যোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করে।

    ৪। পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রসার ঘটায়।

    ৫। স্থানীয় সম্পদের উনণয়ন ঘটায় এবং তার ব্যবহার নিশ্চিত করে।

    ৬। জনগণের সম্পত্তি যথা-রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট, বাঁধ, খাল, টেলিফোন, বিদ্যুত ইত্যাদি সংরক্ষণ করে।

    ৭। ইউনিয়ন পর্যায়ে অন্যান্য সংস্থার উন্নয়ন কার্যাবলী পর্যালোচনা করে এবং প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ বিষয়ে সুপারিশ করে।

    ৮। স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহ দেয়।

    ৯। জন্ম-মৃত্যু, অন্ধ, ভিক্ষুক ও দুঃস্থদের নিবন্ধন করে।

    ১০। সব ধরনের শুমারী পরিচালনা করে।

     

    ঐচ্ছিক কার্যাবলী

    ১। ইউনিয়ন পরিষদ জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা ও রক্ষণা বেক্ষণ করে।

    ২। সরকারি স্থান, উন্মুক্ত জায়গা, উদ্যান ও খেলার মাঠ-এর ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।

    ৩। জনপথ, রাজ পথ ও সরকারি স্থানে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থাকরে।

    ৪। সাধারণ ভাবে গাছ লাগানো ও সংরক্ষণ এবং বিশেষভাবে জনপথ, রাজ পথ ও সরকারি জায়গায় গাছ লাগায় এবং তা রক্ষা করে।

    ৫। কবরস্থান, শ্মশানঘাট, জনসাধারণের সভারস্থান ও জনসাধারণের অন্যান্য সম্পত্তির ক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করে।

    ৬। পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করে এবং তা সংরক্ষণ করে।

    ৭। জনপথ, রাজপথ ও সরকারি স্থান নিয়ন্ত্রণ করে এবং সে সব জায়গায় অনধিকার প্রবেশরোধ করে।

    ৮।  জনগণের পথ, রাস্তা, নির্ধারিত স্থানে উৎপাত বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে।

    ৯। ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতার জন্য নদী, বন ইত্যাদির তত্ত্বাবধান, স্বাস্থ্য কর ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

    ১০। গোবর ও রাসত্মার আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ করে।

    ১১। অপরাধমূলক ও বিপজ্জনক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।

    ১২। মৃত পশুর দেহ অপসারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।

    ১৩। পশু জবাই নিয়ন্ত্রণ করে।

    ১৪। ইউনিয়নে দালান নির্মাণও পুনঃনির্মাণ নিয়ন্ত্রণ করে।

    ১৫। বিপজ্জনক দালান ও সৌধ নিয়ন্ত্রণ করে।

    ১৬। কূয়া, পানি তোলার কল, জলাধার পুকুর এবং পানি সরবরাহের অন্যান্য কাজের ব্যবস্থা ও  সংরক্ষণ করে।

    ১৭। খাবার পানির উৎস শুদ্ধকরণএবং দূষিত করণরোধের জন্যব্য বস্থা গ্রহণ করে।

    ১৮। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সন্দেহ যুক্ত কূপ, পুকুর বা পানিসরবরাহের অন্যান্য স্থানের পানি ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।

    ১৯। খাবার পানির জন্য সংরক্ষিত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বা নিকট বর্তীস্থানে গোসল, কাপড় কাঁচা বা পশুর গোসল নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করে।

    ২০। খাবার পানির জন্য সংরক্ষিত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বা নিকটবর্তী স্থানে শন, পাট বা অন্যান্য গাছ ভেজানো নিষিদ্ধ করে।

    ২১। আবাসিক এলাকার মধ্যে চামড়া রং করা বা পাকা করা নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করে।

    ২২। আবাসিক এলাকার মধ্যে মাটি খনন করে পাথর বা অন্যান্য বস্ত্ত উত্তোলন নিষিদ্ধ করে।

    ২৩। আবাসিক এলাকায় ইট, মাটির পাত্র বা অন্যান্য ভাটি নির্মাণ  নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করে।

    ২৪। গৃহপালিত পশু বা অন্যান্য পশু বিক্রয়ের তালিকা তৈরি করে।

    ২৫। মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

    ২৬। জনসাধারণের উৎসব পালন নিশ্চিত করে।

    ২৭। অগ্নি, বন্যা, শিলাবৃষ্টি সহঝড়, ভূমি কম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের তৎপরতার ব্যবস্থা করে।

    ২৮। বিধবা, এতিম, গরিব ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য করে।

    ২৯। খেলাধুলার উন্নয়ন করা।

    ৩০। শিল্প ও সামাজিক উন্নয়ন, সমবায় আন্দোলন ও গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে এবং এসব ক্ষেত্রে অংশ নেওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহ দেয়।

    ৩১। বাড়তি খাদ্য উৎপাদনে রব্যবস্থা গ্রহণ করে।

    ৩২। পরিবেশ ব্যবস্থাপনার কাজ করে।

    ৩৩। গবাদিপশুর খোয়াড় নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করে।

    ৩৪। প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করে।

    ৩৫। গ্রন্থাগার ও পাঠাগারের ব্যবস্থাকরে।

    ৩৬। ইউনিয়ন পরিষদের সাথে মিল আছে এমন কাজে নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থার সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধিকরে।

    ৩৭। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ ক্রমে শিক্ষার উন্নয়নে সাহায্য করে।

    ৩৮। ইউনিয়নের বাসিন্দা বা পরিদর্শন কারীদের নিরাপত্তা, আরাম-আয়েশবা সুযোগ সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

     

    ইউনিয়ন পরিষদ পৌর ও উন্নয়ন কাজের  আওতায় সামাজিক,অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন মূলক ৪টি দায়িত্ব পালন করে।যথা:

     

    যোগাযোগ

    ১। গ্রাম পর্যায়েরা সত্মা ঘাটের উন্নয়ন করা হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব। চলাচল ও উৎপন্ন পণ্য হাটে বাজারে নেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ রাসত্মা, পুল, কালভার্ট নির্মাণ ও সংরক্ষণ করে। জনগণের চলাচলের সুবিধার জন্য রাসত্মার পাশে বৈদ্যূতিক বাতির ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোগ গ্রহণ করে

    ২। ইউনিয়ন পরিষদ রাসত্মার দু’পাশেগাছলাগায় এবং এই ব্যাপারে জনগণকে   উৎসাহিত করে।

    ৩। বিভিন্ন জাতের গাছের চারা যাতে গ্রামবাসী কিনতে পারে সেই বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে যোগাযোগ করবে।

    ৪। অর্থকরী ফল ও ঔষধি বৃক্ষ লাগানোর সুফল সম্পর্কে জন গণকে উৎসাহিত করে ইউনিয়ন পরিষদ।

     

     

    শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ

    ১। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনায় উন্নয়ন, স্কুলে যাওয়ার উপযুক্ত ছেলেমেয়েদেরকে স্কুলে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা এবং সরকারের বিভিন্ন শিক্ষা কার্য ক্রম বাসত্মবায়নে অর্পিত দায়িত্ব গুলো ইউনিয়ন পরিষদ পালন করে।

    ২। ইউনিয়ন পরিষদ বাস্তব জরিপের ভিত্তিতে কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য শস্য উৎপাদন এবং অধিক জমিচাষের আওতায় আনা এবং চাষের জমিতে অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য পরিকল্পনা ও কার্য ক্রম তৈরি এবং বাসত্মবায়নের জন্য সক্রিয় ভূমিকাপালন করে।

    ৩। প্রতি বছর ইউনিয়ন পরিষদ নিজস্ব এলাকায় সেচের উদ্দেশ্যে ব্যাপক জরিপের মাধ্যমে খাল, নালা, পুকুর এবং বিলখ নন ও পুনঃখনন করে।অতিরিক্ত জমি চাষা বাদের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে এবং প্রয়োজনের অধিক বাড়তি পানি নিস্কাশনের জন্য বাঁধ তৈরি ও রক্ষা করা ইউনিয়ন পরিষদের কাজ।

    ৪। প্রতি বছরে প্রথমে ফসল ওয়ারী সার ও বীজের চাহিদা তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা কৃষি কর্ম কর্তা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্ম কর্তার নিকটপাঠায়।কৃষকদেরকে সার ও উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারে উৎসাহিত করে এবং ইউনিয়ন এলাকার যেসব কৃষক উন্নত ধরণের বীজ উৎপাদন করেন তাদের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে টাঙ্গানোর ব্যবস্থাকরে। এই তালিকা উপজেলা কৃষি কর্ম কর্তার নিকট প্রেরণ করা হয়।কৃষকরা যাতে উন্নত জাতের বীজ ও পোকা-মাকড় বিধবংসী ঔষধব্যবহার করেন ইউনিয়ন পরিষদ সে প্রেক্ষিতে কর্মসূচি গ্রহণকরে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্লক সুপার ভাইজারদের মাধ্যমে প্রদর্শনী খামার স্থাপন করে ইউনিয়ন পরিষদ।

    ৫। গবাদি পশু, হাঁস মুরগী পালন এবং মাছ চাষের জন্য জন সাধারণ কে উৎসাহিত করা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব।এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট কর্ম কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে জনসাধারণ যাতে পশু ও হাঁস-মুরগির ঔষধ ও টিকা, মৎস্যবীজ, মৎস্য চাষের যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে পারে তারব্যবস্থা করে।

    ৬। গ্রামকে পরিস্কার রাখা, ময়লা দূর করা, পরিবেশকে সুন্দর রাখা,  প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের।ইউনিয়ন পরিষদ আবর্জনা ও জঙ্গল অপসারণ, কচুরি পানা উচ্ছেদ এবং পরিবেশকে মনোরম ও পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করে।।কোন মহামারীর আশংকা দেখা দিলে ইউনিয়ন পরিষদ স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিষেধকের ব্যবস্থা   করে।গ্রামবাসীদের মাঝে পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে যে ভুল ধারণা বা কুসংস্কার আছে তাদূর করে এ কর্মসূচিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণ যোগ্য করার ব্যাপারে কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ।

     

     

    পানীয় জল সরবরাহ

    ১। বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম দায়িত্ব। এর জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কূয়া, পুকুর, ইঁদারা ইত্যাদি খনন, পুনঃখনন ও সংরক্ষণ করে এবং এসবের পানি যাতে অন্য কোন ব্যবহার দ্বারা দূষিত না হয় তা রব্যবস্থা করে।

    ২। সুবিধা জনক জায়গায় নল কূপ বসানো ও তা রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।নলকূপ বসানোর কাজ ঠিকমত সম্পন্ন এবং এর গোড়ায় প্লাটফরম ঠিকমত তৈরি হল কিনা এবং তার স্থায়িত্ব সম্পর্কে তত্ত্বাবধান করেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ।নলকূপের যন্ত্রাংশ যাতে চুরি না হয় এবং এর পানি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা জনসাধারণকে বুঝিয়ে দেওয়া ও সতর্ক করা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব।

    ৩। নলকূপ বিকল হয়ে যেন বেশিদিন পড়ে না থাকে সেজন্য বিকল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরামতের ব্যবস্থা অবলম্বন করে ইউনিয়ন পরিষদ।গ্রাম এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কমিটিআছে। এককথায়, জনস্বাস্থ্যরক্ষায় পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত পুকুর ও নলকুপ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা ইইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব।

     

     

    সংস্কৃতি সমাজ কল্যাণ

    ১। উন্নয়ন মূলক কাজ ছাড়া ও ইউনিয়ন পরিষদ কিছু সাংস্কৃতিক ও সমাজ কল্যাণ মূলক কাজ করে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাঠাগার স্থাপন। ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে পাঠাগার স্থাপন করে। বয়স্কদের জন্য নৈশ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করে।

    ২। চিত্ত বিনোদনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ জাতীয় উৎসবের দিন গুলো উদযাপন, মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন, খেলাধুলা ও ক্রীড়াপ্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান,  মাঠ ও উদ্যানের ব্যবস্থা  ইত্যাদি দায়িত্ব  পালন করে।

    ৩। ইউনিয়ন পরিষদের কিছু সমাজ কল্যাণ মূলক কাজ ও আছে যেমন- কবর স্থান ও শ্মশান ঘাটর ক্ষণাবেক্ষণ এবংবিধবা, অনাথ ও দরিদ্র ব্যক্তিদের সহায়তা করা। ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকার কর্তৃক গৃহীত সমাজ কল্যাণমূলক কাজে ইউনিয়ন পরিষদ অর্পিত এসব দায়িত্বাবলী পালন করে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর এবং পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মসূচিতে অংশনিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ এবং বাসত্মবায়নের জন্য সহযোগিতা করে।এছাড়া আগুন, বন্যা, ঝড়, ভূমিকম্প ইত্যাদি পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ত্রাণ কার্য পরিচালনা করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণকে দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব।

     

     

    পুলিশ নিরাপত্তা

    ১. সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার গ্রাম পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠা এবং তাদের নিয়োগ,

    ২. প্রশিক্ষণ ও শিষ্টাচার নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের চাকুরির শর্তা বলী নির্ধারণ করে।অধ্যাদেশের প্রথম তফসীলের দ্বিতীয় অংশে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর ক্ষমতা ও দায়িত্ব গুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    ৩. জেলা প্রশাসক যদি মনে করেন যে কোন ইউনিয়ন বা তার অংশ বিশেষে গ্রাম প্রতিরক্ষা বা জন নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, তাহলে তিনি আদেশ জারির মাধ্যমে সেব্যব স্থাগ্রহণ করতে পারেন।তাঁর আদেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন বা অংশ বিশেষে সক্ষম যুবক পুরুষ বসবাসকারী টহল দেন। জেলা প্রশাসকের আদেশঅনুযায়ী ইউনিয়নপরিষদ তার ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্বপালনকরে।

    ৪.গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণ ও তাদের মালা মালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্য তম দায়িত্ব।এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ মহল্লাদার ও দফাদার নিয়োগ করে।

    ৫. মহল্লাদার ও দফাদারদেরকাজ হচ্ছে ইউনিয়নেরগ্রামওমহল্লায় প্রহরার ব্যবস্থা করা এবং পুলিশকেঅপরাধদমনেযথাসাধ্যসাহায্যকরা।সন্দেহ জনক কোন ব্যক্তি বা  কোন কারণে ইউনিয়নে শামিত্মবিঘ্নিত হতে পারে এমন কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সে সম্বন্ধে থানার ওসিকে এরা অবহিত করে  এবং ১৫দিনে অমত্মত এক বার তার কাছে রিপোর্ট করে।ইউনিয়নে কোন প্রকার মহামারীর আশংকা দেখাদিলে বা কোন বাঁধ বা সেচ প্রকল্পের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা হলে বা ইউনিয়ন পরিষদের কোন সম্পত্তি অন্যায় দখল হলে ইউনিয়ন পরিষদকে তা তখনই জানাতে হয়।তাছাড়া রেল লাইন, টেলিফোন বা টেলিগ্রাম বা ইলেকট্রিকলাইন, টিউবওয়েল এবং অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি ক্ষতির সম্মুখীন হলে জন সাধারণ, মহল্লাদার বা দফাদার ইউনিয়ন পরিষদকে জানায়। সেই অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে।কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহল্লাদার বা দফাদাররা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ও ওয়ারেনট ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে যেমন- কেউ যদি কোন আদালত অগ্রাহ্য অপরাধ করে,  বাকার ও কাছে কোন সিদেল যন্ত্র বা চোরাই মাল থাকে বা কেউ হাজত থেকে পলায়ন করে গ্রামে আত্মগোপন করে  ইত্যাদি।কিন্তু তাদেরকে যত শীঘ্র সম্ভব থানায় সোপর্দ করতে হয়।এছাড়া মহল্লাদারের আরেকটি অন্যতম প্রধান কাজ  হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা।

    গ্রাম প্রতিরক্ষাদলের গঠন ও কার্যাবলীর সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সম্পৃক্ত।গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠনের প্রধান উদ্দেশ্যাবলী হচ্ছে:

    ১। রাষ্ট্র বিরোধী কাজে লিপ্ত এবং অস্ত্রধারী দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা।

    ২। নিজ নিজ এলাকার মধ্যে যাতে দুস্কৃতিকারী ও অন্যান্য অপরাধীগণ খাদ্য ও আশ্রয় না পায় তার ব্যবস্থা করা এবং তাদের দমন করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সাহায্য করা।

    ৩। বে-আইনী অস্ত্র উদ্ধারে সাহায্য করা।

    ৪। নিজ নিজ এলাকায় অবস্থিত গুরুত্ব পূর্ণ অবস্থান সমূহ পাহাড়ার কাজে অংশ গ্রহণ করা।

    ৫। নতুন লোকের আগমন ও চলাফেরা সম্পর্কে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা।

    ৬। প্রয়োজনবোধে রাতে টহলদার ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশদের পাহাড়ার কাজে সহায়তা করা।

     

     

    রাজস্ব প্রশাসন

    রাজস্ব দায়িত্ব সম্পাদন ছাড়া ও ইউনিয়ন পরিষদ:

    ১। রাজস্ব ও সাধারণ প্রশাসনিক কাজে সহায়তা করে।

    ২। রাজস্ব অথ বা ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে রাজস্ব ও কর্মকর্তা এবং সাধারণ প্রশাসনকে সহায়তা করে।জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী ইউনিয়নের রাজস্ব ও প্রশাসন পরিচালনা, রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড ও মূল্যায়ন তালিকা প্রণয়ন, সার্ভে বা শস্য পরিদর্শনে সহায়তা করে।

    ৩। কোন অপরাধ সংগঠিত হলে পুলিশকে অবহিত করে। জন সম্মুখে পুলিশকে কুখ্যাত চরিত্রের ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করবে, তদমত্ম কাজে,  অপরাধ দমনে এবং অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সহায়তা করে।

    ৪। জনপথ, রাসত্মা বা জনসাধারণের জায়গায় অবৈধ দখল বা দালান বা সম্পত্তির ক্ষতি হলে যথা যথ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করে।

    ৫। সরকার অথ বা অন্য কোন উপযুক্ত কর্তৃ পক্ষের পক্ষে নির্দেশ অনুযায়ী জন সাধারণকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে সকল বিষয় জানানোর  নির্দেশ দেওয়া হয় তা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো।

    ৬। কর্ম কর্তাদেরকে তাদের কাজে সহায়তা করা এবং উক্ত কর্ম কর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী তথ্যাদি সরবরাহ করা।

     

     

    উন্নয়ন দারিদ্রদূরী করণ

    গ্রাম উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। কৃষি ও কুটির শিল্পের উন্নতি এবং সমবায় আন্দোলনের বিসত্মার এবং বন, পশু ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনা এমন ভাবে তৈরি করে যাতে একে যে সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেমন- কৃষি, শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, কুটির শিল্প ইত্যাদি বিষয়ক প্রকল্প গুলো পৃথক পৃথক ভাবে দেখানো হয়।নিম্ন লিখিত তথ্যাদি উন্নয়ন পরিকল্পনায় লিপিবদ্ধ করা হয়:

    • ১। বিভিন্ন খাতের লক্ষ্য মাত্রা
    • ২। প্লানের নির্দিষ্ট প্রকল্প সমূহ
    • ৩। কি ধরণের কর্মচারী প্রয়োজন হবে এবং এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে কোন সাহায্যের প্রয়োজন হবে কি না।
    • ৪। যে সকল দ্রব্যাদি এবং সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে।
    • ৫। কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে এবং কিভাবে তা পাওয়া যাবে।
    • ৬। জনসাধারণের কাছ থেকে প্রাপ্ত চাঁদা, দ্রব্যাদি ও স্বেচ্ছাশ্রম।
    • ৭। কি ভাবে বার্ষিক পরিকল্পনা পর্যায় ক্রমে বাসত্মবায়িত হবে।
    • ৮। কোন প্রকল্প সমাপ্ত হলে তার সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও আবর্তক খরচ।

     

    প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন এলাকার চাহিদা ও প্রয়োজনীয় তা অনুযায়ী একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করে। উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হয়। তবে এযাবৎ সরকারের নির্দেশমোতাবেক উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ পাঁচ বছর করে হয়ে আসছে। বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন মূলক কাজের চাহিদা এক সঙ্গে বা এক বছরে মেটানো সম্ভব নয়,  পরিষদের আর্থিক সংগতি ও পর্যাপ্ত নয়।এসব কারণে পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় দেখা হয় বৃহত্তর জনস্বার্থে এবং পরিষদের আর্থিক সংগতির দিকে লক্ষ্য রেখে কোন ধরনের প্রকল্প বা প্রকল্প গুলো প্রথম বছর, কোন গুলো দ্বিতীয় বছর, কোন গুলো তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম বছরে কার্য করী করা সম্ভব হবে।এক কথায় বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গুলোর সামগ্রিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পাঁচ শালা পরিকল্পনা গ্রহণ করে ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতি বছর উন্নয়ন পরিকল্পনা খাতে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হবে তা পাঁচ শালা পরিকল্পনার ভিত্তিতে খরচ করা হয়, অন্য ভাবে নয়। তবে যে প্রকল্প গুলো আগে সম্পন্ন করা হয়েছে তার উন্নয়ন বা মেরামতের কাজ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে একটি প্লানবুক আছে যার মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নির্দেশ করা থাকে। বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ যাতে সুচারু রূপে সম্পাদিত হয় সে জন্য ইউনিয়ন পরিষদ   বিভিন্ন কমিটি গঠন করে।

     

    ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প গ্রহণ ও বাসত্মবায়নের মূল লক্ষ্য হল:

    (ক) গ্রামের বেকার, গরীব ও দুঃস্থজনগণেরকর্মসংস্থানকরাওস্থায়ীসম্পদসৃষ্টিকরাএবংসবসম্পদসংরক্ষণেরব্যবস্থাগ্রহণকরা।

    (খ) গ্রাম, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ভিত্তিক দরিদ্র ও বেকার এবং দুঃস্থ লোকদের সঠিক পরিসংখ্যান বা সত্মব জরিপের মাধ্যমে প্রস্ত্তত করা।এ পরিসংখ্যান সর্বদা ইউনিয়ন পরিষদ সংরক্ষণ করবে এবং ইউনিয়ন অভ্যমত্মরে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে তাতে বেকার ও দরিদ্র এবং দুঃস্থ জনাংশের কর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

     

    বিচার

    বাংলাদেশের গ্রামীণ জন সাধারণের ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা ও মামলা মোকদ্দমা নিস্পত্তি এবং বিড়ম্বনা এবং এ সংক্রামত্ম খরচের হাত থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকার গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক ভাবে বিচার ব্যবস্থার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের উপরন্যাস্ত করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালত গঠনের মাধ্যমে কতিপয় ফৌজদারী ও দেওয়ানী উভয় প্রকার    মামলার   বিচার করতে পারে।

    ইউনিয়ন পরিষদের  কার্যাবলী

     

    ০১ বিভিন্ন মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরী।
    ০২ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, সংরক্ষণও রক্ষনাবেক্ষণ।
    ০৩ শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত।
    ০৪ স্বাস্থ,পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন।
    ০৫ কৃষি,মৎস্য ও পশু সম্পদ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ।
    ০৬ মহামারী নিয়ন্ত্রন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়  প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ।
    ০৭ কর,ফি, টোল, ফিস ইত্যাদি ধার্যকরণ ও আদায়।
    ০৮ পারিবারিক বিরোধ নিরসন,নারী ও শিশু কল্যান সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদন।
    ০৯ খেলাধুলা,সামাজিক উন্নতি সংস্কৃতি ইত্যাদি  কার্যক্রমে প্রয়োজনীয়  উদ্যোগ গ্রহন ও সহযোগিতা প্রদান।
    ১০ পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
    ১১ আইন শৃংখলা রক্ষায় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন ও প্রয়োজনীয় কাযক্রম গ্রহণ।
    ১২ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধীকরণ।
    ১৩ সরকারি স্থান, উন্মুক্ত জায়গা,উদ্যান ও খেলার মাঠের হেফাজত করা।
    ১৪ ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তায় ও সরকারী স্থানে বাতি জ্বালানো।
    ১৫ বৃক্ষ রোপণ ও সংরক্ষণ এবং বৃক্ষ সম্পদ চুরি ও ধ্বংস প্রতিরোধ।
    ১৬ কবরস্থান,শ্মশান,জনসাধারণের সভার স্থান ও অন্যান্য সরকারী সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা।
    ১৭ জনপথ,রাজপথ ও সরকারি স্থানে অনধিকার প্রবেশ রোধ এবং এইসব স্থানে উৎপাত ও তাহার কারণবন্ধ করা ।
    ১৮ জনপথ ও রাজপথের ক্ষতি,বিনষ্ট বা ধ্বংস প্রতিরোধ করা।
    ১৯ গোবর ও রাস্তার আবজর্না সংগ্রহ,অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
    ২০ অপরাধ মূলক ও বিপজ্জনক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ।
    ২১ মৃত পশুর দেহ অপসারণ ও নিয়ন্ত্রন এবং পশু জবাই নিয়ন্ত্রণ।
    ২২ ইউনিয়নে নতুন বাড়ী,দালান নির্মান ও পুনঃ নির্মান এবং বিপজ্জনক দালান নিয়ন্ত্রন।
    ২৩ কূয়া,পানি তোলার কল,জলাধার,পুকুর এবং পানি সরবরাহের অন্যান্য উৎসের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ।
    ২৪ খাবার পানির উৎসের দূষণ রোধ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সন্দেহযুক্ত কূপ,পুকুর বা পানি  সরবরাহের অন্যান্য স্থানের পানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
    ২৫ খাবার পানির জন্য সংরক্ষিত কূপ,পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বা নিকটবর্তী স্থানে গোসল

    কাপড় কাচাঁ বা পশু গোসর করানো নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা।

    ২৬ পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বা নিকট বর্তী ন্থানে শন , পাট বা অন্যান্য ভিজানো নিষিদ্ধ   নিয়ন্ত্রণ করা।
    ২৭ আবাসিক এলাকার মধ্যে চামড়া রং করা বা পাকা করা নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা।
    ২৮ আবাসিক এলাকার মাটি খনন করিয়া পাথর বা অন্যান্য বস্তু উত্তোলন নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা।
    ২৯ আবাসিক এলাকায় ইট,মাটির পাত্র বা অন্যান্য ভাটি নির্মান নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা।
    ৩০ অগ্নি,বন্যা,শিলা বৃষ্টি সহ ঝড়, ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় তৎপরতা গ্রহন ও সরকারকে সার্বক্ষনিক সহায়তা প্রদান।
    ৩১ বিধবা,এতিম,গরিব ও দুঃস্থ ব্যাক্তিদের তালিকা সংরক্ষন ও সাহায্য করা।
    ৩২ সমবায় আন্দোলন ও গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়ন উৎসাহ প্রদান।
    ৩৩ বাড়তি খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহন।
    ৩৪ গবাদি পশুর খোয়ার নিয়ন্ত্রন ও রক্ষনা বেক্ষণের ব্যবস্থা করা।
    ৩৫ প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা।
    ৩৬ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা,আরাম-আয়েশ বা সুযোগ সুবিধার জন্য প্রয়োজনিয় অন্যান্য ব্যবস্থা  গ্রহন।
    ৩৭ ই-গভর্ণেন্স চালু উৎসাহিত করণ।
    ৩৮ ইউনিয়ন পরিষদের মত সদৃশ কাজে নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থার সাথে সহযোগিতা সম্প্রসারণ।
    ৩৯ সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে আরোপিত দায়িত্ববলী।

     

     

    আশা করি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পর্কে জেনেছেন এই উত্তর থেকে।

    আরও বিস্তারিত জানুন সরকারী ওয়েবসাইট থেকে।

     

    ধন্যবাদ।

    • 643 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Brong Asked on July 30, 2019 in শিক্ষা.

    MRP হচ্ছে এমন একটি পাসপোর্ট যাতে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য এমনভাবে ছাপানো হয় যা খালি চোখে পড়া যায় এবং একই সাথে এতে রয়েছে একটি “মেশিন রিডেবল জোন” যা পাসপোর্ট বহনকারীর ব্যক্তিগত সকল তথ্যবিবরণী ধারণ করে। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কম্পিউটারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমানাসমূহে এই তথ্যাবলী পড়া যায়। পাসপোর্টধারীর তথ্যগুলো এমন ভাবে প্রিন্ট করা থাকে যেন তা খালি চোখেও পড়া যায়, আবার একই সাথে মেশিন রিডেবল জোনে এমন ভাবে ছাপা থাকে, একটি বিশেষ যন্ত্রই শুধু তার পাঠোদ্ধার
    করতে পারে। আবেদনকারীর স্ব-শরীরে পাসপোর্ট অফিসে হাজির হতে হয়।

    • 523 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে  ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC) স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি জেলার  প্রতিটি পৌরসভায়  পৌর ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন ই-সেবা দেওয়া হচ্ছে।

    যেমন:-

    * কম্পিউটার ও ইন্টারনেট বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান

    *  ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা ও দ্রুত প্রিন্ট করা

    * দলিল স্ক্যানিং করা

    * বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি তথ্য সরবরাহ ও ফরম পূরণ

    * ভিসা প্রসেসিং করা

    * জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন

    * অনলাইনে জরিপ পর্চার আবেদন

    * মোবাইল ব্যাংকিং

    * প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান ও শর্ত সাপেক্ষে প্রজেক্টর ভাড়া দেওয়া

    * অনলাইনেপ্রকাশিত বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল প্রিন্ট করে সরবরাহ করা

    * অনলাইনে প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি প্রিন্ট করে সরবরাহ করা

    * অনলাইনে চাকুরীর ফরম ও অন্যান্য ফরমপূরণকরে দেওয়া

    * স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য, প্রাণী সম্পদ সংক্রান্ত তথ্য প্রদান

    * ই-মেইলের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে দ্রুত সময়ে যোগাযোগ ও ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা প্রদানসহ ইন্টারনেট ও কম্পিউটারভিত্তিক সব ধরনের প্রশিক্ষণও সেবা প্রদান।

     

    এসকল সেবা আপনারা প্রতিটি ইউনিয়নে  ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC) থেকে পাবেন।

    প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।

    • 498 views
    • 1 answers
    • 0 votes
    • 943 views
    • 2 answers
    • 0 votes
  • পশু জবাইয়ের যে শর্ত তাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা। তাতে যদি মহিলারাও জবাই করে, শরীয়তে এর কোন নিষেধ নেই।
    যবেহকালে আল্লাহর নাম নেওয়া (‘বিসমিল্লাহ’ বলা) ওয়াজেব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘‘যদি তোমরা তাঁর নিদর্শনসমূহের বিশ্বাসী হও তবে যাতে (যে পশুর যবেহ করার সময়) আল্লাহর নাম নেওয়া হয়েছে তা আহার কর।’
    ’ (কুঃ ৬/১১৮) ‘
    ‘এবং যাতে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি তা হতে তোমরা আহার করো না; উহা অবশ্যই পাপ।’’ (কুঃ ৬/১২১)।

    কুরবানীর পশুর যবেহ করার নিয়ম-পদ্ধতিঃ

    কুরবানী এক ইবাদত। যা তার নির্ধারিত সময় ছাড়া অন্য সময়ে সিদ্ধ হয় না। এই কুরবানীর সময় দশই যুলহজ্জ ঈদের নামাযের পর। নামাযের পূর্বে কেউ যবেহ করলে তার কুরবানী হয় না এবং নামাযের পর ওর পরিবর্তে কুরবানী করা জরুরী হয়।

    জুনদুব বিন সুফ্য়্যান আল-বাজালী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে কুরবানীতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি যখন নামায সমাপ্ত করলেন তখন কতক ছাগ ও মেষকে দেখলেন যবেহ করা হয়ে গেছে। অতঃপর বললেন, ‘‘যে ব্যক্তি নামাযের পূর্বে যবেহ করেছে, সে যেন ওর পরিবর্তে আর এক পশু যবেহ করে। আর যে ব্যক্তি যবেহ করে নি, সে যেন আল্লাহর নাম নিয়ে যবেহ করে।

    ঈদের খুতবায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আজকের এই দিন আমরা যা দিয়ে শুরু করব তা হচ্ছে নামায। অতঃপর ফিরে গিয়ে কুরবানী করব। অতএব যে ব্যক্তি এরূপ করবে সে আমাদের সুন্নাহ (তরীকার) অনুবর্তী। আর যে ব্যক্তি (নামাযের পূর্বে) কুরবানী করে নিয়েছে, তাহলে তা গোশতই; যা সে নিজের পরিবারের জন্য পেশ করবে এবং তা কুরবানীর কিছু নয়।’’ (বুখারী , মুসলিম ১৯৬১নং)

    আর আফযল এটাই যে, নামাযের পর খুতবা শেষ হলে তবে যবেহ করা। যে ব্যক্তি ভালরূপে যবেহ করতে পারে তার উচিত, নিজের কুরবানী নিজের হাতে যবেহ করা এবং অপরকে তার দায়িতক্ষ না দেওয়া। যেহেতু আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবহস্তে নিজ কুরবানী যবেহ করেছেন। এবং যেহেতু কুরবানী নৈকট্যদানকারী এক ইবাদত, তাই এই নৈকট্য লাভের কাজে অপরের সাহায্য না নিয়ে নিজসব কর্মবলে লাভ করা উত্তম। ইমাম বুখারী (রঃ) বলেন,আবু মূসা (রাঃ) তাঁর কন্যাদেরকে আদেশ করেছিলেন যে, তারা যেন নিজের কুরবানী নিজের হাতে যবেহ করে।’ (ফাতহুল বারী ১০/১৯)

    পক্ষান্তরে যবেহ করার জন্য অপরকে নায়েব করাও বৈধ। যেহেতু এক সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতে তেষট্টিটি কুরবানী যবেহ করেছিলেন এবং বাকী উঁট যবেহ করতে আলী (রাঃ)-কে প্রতিনিধি করছিলেন। (মুসলিম)

     

    কুরবানির বিধিবিধানের বিস্তারিত আবদুল হামীদ ফাইযী

    • 842 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • আল্লাহর উপর ভরসা করে আমি তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি।

    কোরবানী দাতা যদি ছুরি চালাতে সক্ষম হন এবং যবাই করার মত সাহসের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে এক্ষেত্রে সুন্নাত হচ্ছে কোরবানী দাতা নিজ হাতে কোরবানীর পশু যবাই করবেন। অন্য কেউ যবাই করলেও জায়েয হবে।

    কিন্তু আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে যে, সামাজিক মোল্লা বা সমাজের মসজিদের ইমামই সকলের কোরবানীর পশু যবাই করে থাকেন। এটি যে সুন্নাত বিরোধী, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা কোরবানীর পশু যবাই কররার জন্য বড় আলেম হওয়া জরুরী নয়।

    কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ঈদের দিন ইমাম সাহেব ছুরি হাতে নিয়ে গ্রাম বা মহল্লার সকলের কোরবানী একাই যবাই করেন। এতে করে অনেকের কোরবানী যবাই করতে যথেষ্ট বিলম্ব হয়ে যায়। কারণ একজন ব্যক্তির পক্ষে অনেকগুলো কোরবানীর পশু যবাই করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

    কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইমাম সাহেবকে দেখা যায় যে, তিনি ঈদের নামাযের পর সমাজের প্রভাবশালী লোকদের কোরবানীর পশুগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যবাই করে থাকেন। এতে সাধারণ মানুষগণ বিড়ম্বনার শিকার হয়ে থাকেন, যা ইসলাম মোটেই সমর্থন করে না।

    কোরবানী যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ একটি এবাদত তাই কারও অপেক্ষায় না থেকে নিজ হাতে কোরবানী যবাই করাই উত্তম। এটিই সহীহ হাদীছের কথা।

    এবার মূল প্রশ্নে আসি। কোরবানীর পশু যবাই করার সময় কি কোরবানী দাতার নাম উচ্চারণ করা কি জরুরী?

    কোরবানী দাতার নিয়ত যদি ঠিক থাকে এবং তা যদি হালাল উপার্জন থেকে হয়ে থাকে তাহলে পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মুখে কোরবানী দাতার নাম উচ্চারণ করার প্রয়োজন নেই। যবাই করার সময় শুধু  بسم الله ألله أكبر  বলাই যথেষ্ট।  আর যদি কেউ বাড়িয়ে বলতে চায় তাহলে বলবেঃ
    أللهم تقبل هذا مني ومن أهل بيتي
    অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনি ইহা আমার পক্ষ হতে এবং আমার পরিবারের সকল সদস্যের পক্ষ হতে কবুল করুন। অথঃপর ছুরি চালানোর সময় বলবেঃ بسم الله والله أكبر

    কিন্তু আমাদের সমাজে পশু যবাই করার সময় কোরবানী দাতার নামটি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে দেখা যায়, যার কোন শরঈ ভিত্তি নেই। অনেক সময় সাতভাগে কোরবানী দেয়ার সময় একটি কাগজে সাতটি নাম লিখে তা ধারাবাহিকভাবে উচ্চারণ করতে দেখা যায়। ইমাম বা মোল্লা সাহেব ছুরি হাতে নিয়ে মাটিতে শায়িত পশুর গলা বরাবর দাঁড়িয়ে থাকেন আর অন্য একজন অংশীদারদের নামগুলো উচ্চারণ করেন। এই নিয়মটি হাদীছের কিতাবে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে কোরবানীর পশু নিজ হাতে যবাই করলে দুআ স্বরূপ উপরের বাক্যটি পাঠ করতে পারেঃ
    أللهم تقبل هذا مني ومن أهل بيتي
    আর অন্য কেউ যবাই করলে বলতে পারে أللهم تقبل هذا عن فلان অর্থাৎ হে আল্লাহ আপনি এই কোরবানী অমুকের পক্ষ হতে কবুল করুন। শুধু একক নাম উল্লেখ করা ঠিক নয়।

    পরিশেষে বলতে চাই, আসুন আমরা এবারের ঈদে নিজের কোরবানী নিজ হাতেই যবাই করি। আপনি কি প্রস্তুত?
    আল্লাহ তাআলা কোরবানীসহ আমাদের সকল এবাদত কবুল করুন।

    আমীন।

    • 505 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লিস্ট , ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস এবং অবস্তানের নাম দেওয়া হল,  নিচে দেওয়া হল। আশা করি আপনার উপকারে আসবে।

    বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লিস্ট, ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস এবং অবস্তানের নাম দেওয়া হলঃ

     

    ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য।

    This answer accepted by মাহিন. on June 16, 2019 Earned 5 points.

    • 741 views
    • 3 answers
    • 0 votes